নিরল বাদলে একলা মনপাখি

এই নিরল ধারাপাত একটানা প্রপাতে
কী আশ্চর্য চাপা মূক!
আলগোছে ভিজে যায় নির্মম এ শহর
আর ভিজে তোমায় চেয়ে কেবল বঞ্চনা চুমে
উদাসীন কোনো এক নিঃসঙ্গ বুক।
এই নিরেট যন্ত্রণা অভিমানের জল পেয়ে
কী অদ্ভুত কাতর আর্দ্র!
যোজন যোজন দূরে, আয়ত চোখের তপ্ত নীড়ে
তাকেও কি ছুঁয়েছে এই অবুঝ বেদনার্ত?
এই রোদনের একলা বাদল,
কেন বাজাও মন কেমনের চাপা মাদল?
বুক ভাঙে, পাঁজর ভাঙে
আর ভাঙে মনপাখি নিষেধের যত আগল!

তোমাকে চাই!

আমি যাহারে চাই কাছে খুব কাছে
পাই না তাহারে, সে যে রয় দূরে বহুদূরে।
এই নিরল বিরল নিঝুম বরিষণে
আহা, কোথায় পাই তাহারে?
আহারে, সুখহীন নিশিদিন এই হৃদমাঝারে
তাহারে চাই, কেমনে পাই?
এ মন যে হায় আর মানে না রে!
আহারে, চাই তাহারে এই বুকের পরে
চেয়ে থাক সেই দুটি চোখ পরম নিষ্পলক,
নিশ্চুপ অলক মেঘভার উচ্ছ্বাসে।
আহারে, এই ব্যাকুল ঝরা রোদনে
কে আসে, অধর রাখে চাতকের ব্যথিত বেদনে?