মানুষ এতো বোকাও হয়!
অধরা কে ধরায় মিশিয়ে
স্বপ্ন-বাসরে আনমন ডুবে রয়!
মানুষ এতো অবোধও হয়!
অপ্রাপ্তির ধ্রুবত্ব জেনেও
কোন সে মরীচিকার মায়ায়
পৌনঃপুনিক পথ হারায়!
মানুষ এতো নির্লজ্জও হয়!
বাসনার কফিনে গজাল ঠুকেও
আবার চেয়ে বসে
স্মৃতি জাগানিয়া প্রথম চাওয়ার
উত্তাল প্রহর…
মানুষ কখন এতো খেলো হয়ে যায়?
দূরে চলে যাবো-শতবার ভেবেও
কাছে পাবার সঙ্গোপন বাসনায়
প্রতিজ্ঞার বজ্রমুঠি,
বাড়ানো হাতের অদম্য মুগ্ধতায়
নিঃশর্তে শিথিল হয়!
মন কেনো এতো অবুঝ হয়
বুঝেও বোঝে না প্রত্যাখানের প্রচ্ছন্ন বিদ্রূপে।
দীর্ঘশ্বাসের মরা কটাল,
মায়াবী চাঁদের আরাধ্য ছায়া খুঁজে ফেরে
আহত জ্যোছনার সঙ্গীন ডানায়।
তবুও হায়! প্রলুব্ধ এ মন
সতত বদলানো তোমার স্বরূপে!
হাতের লক্ষী হয়তো কোনো, ঠেলছো পায়ে অচ্ছুতে;
সুখ পাবিনা কভুই পাগল, অন্য ঘরের চৌকাঠে।
মনটা যে তোর আচ্ছাদিত, নীল ধোঁয়াতে দৃষ্টিহীন,
উঠান পরে অপেক্ষাতে, জগতটা যে খুব রঙিন।
ফুৎকারে ভাই দে উড়িয়ে, বিষবাষ্প আর আঘাত-এ,
পাসনি যা তার জেঁদটা ধরে, হারাস কেন যা পাতে।
ধন্যবাদ আপনাকে 🙂