কখনো কখনো বড় একা হয়ে যাই।
কখনো কখনো নিঝুম প্রাতে,
চোখ মেলেই বিষন্ন হয়ে যাই!
ভালোলাগে না আলো, নিষ্ঠুর লাগে
নাগরিক চৈতন্যের নিত্য শ্রুত শব্দ!
আত্মার গভীরে জেগে ওঠে
ঘুমিয়ে থাকা শব্দহীন নির্বিবাদি সমঝোতা;
বুক ধড়াসে মনে পড়ে যায়-
আমি একা, বড় একা!
কখনো কখনো ভুলে যাই বেমালুম-
বিস্মৃতির অভিনয়, সুনিপুণ;
ভ্রমাশ্রয়ী মায়া-কল্প,
অসুখী অনবধানে গেয়ে ফেলে আত্ম-ব্যজস্তুতি!
প্রতিবোধনের অশ্রু আনমনে গড়িয়ে পড়ে,
হাহাকারে মনে বাজে নিঃসঙ্গতার নিগুঢ় ধ্বনি !
কখনো কখনো বড্ড ওলটপালট হয়ে যায়…
আপাত সুখী জীবনের চকচকে মোড়কে
চাপা পড়া দীর্ঘশ্বাস,
ক্ষেপা অঘটন হয়ে জুড়ে যায়!
ভেঙ্গে গেলে মোহ, গুড়িয়ে গেলে আত্মরম্ভ
সত্যের ক্ষারক জলে ক্ষয়িষ্ণু ‘আমি’ কে দেখি।
তখন বড্ড অভিমান হয়ে যায়…
জাগতিক বিধির সাধ্য কি
ছোঁয় আমার মর্মন্তুদ মৃদুল নিধি!
কখনো কখনো বড় নিঃস্ব হয়ে যাই
উদাসীনতায়ও মানে না মন,
শত প্রবোধেও উন্নদ্ধ উচাটন;
কখনো কখনো বেঁচে থাকাটাই
বড্ড উপদ্রব মনে হয়!!
প্রথম প্রকাশঃ প্রজন্ম ফোরাম (এপ্রিল, ২০১১)
শব্দার্থঃ
অনবধান – অসাবধান
ব্যজস্তুতি – নিন্দার ছলে প্রশংসা
প্রতিবোধন – উপলব্ধি
নিধি – আধার
উন্নদ্ধ – উচ্চে বাঁধা কিছু এমন
একা আসি পৃথিবীতে, যেতে হবে যে একা,
ক্যারেক্টার প্লে করি, দুখি হলে যে বোকা।
রিয়েলাইজ করলে, হতে পারে হতাশা,
কিংবা যে হবে বদ, খাবে ঘুরে বাতাসা।
তাই বাঁধে ধর্ম, ইহকাল পরকাল,
যদি তা না থাকতো, শুরু হত কলিকাল!
জিন বড় বলবান, বাঁধন টা শক্ত,
করিও যতন তারে, টানবে যে রক্ত।