প্রমত্তা কিছু নদী মাঝে মাঝেই বিবসনা হয়ে যায়!
তাদের উত্তুঙ্গ জলবতী বুকে আমন্ত্রণের হাতছানিরা
আলতো ভাসে কামজ সকৌতুকে।
সাধ্য কী মরমর আকাশের? মুদে রাখে দু’নয়ন
জপে মালা নিষ্ফল নীতিকথার, উন্মন উদাসীনতায়?
নদীরা সব আশ্চর্য! কেমন করে জানি বুঝে ফেলে
চাপা তৃষ্ণা, কাঙ্খিত প্লাবনের রুদ্ধ আদিমতা।
তখন কোনো কোনো নদী বড্ড খেলুড়ে হয়ে যায়,
মুক্ত বহমান তরলের মত বয় সেইসব অনুপম দক্ষতা!
কেউ জানে না সত্যিকারের কী থাকে সেই রমণীয় ক্রীড়ায়?
শুধু ব্রাত্য যোগীর আর্ত প্রাণ আসে যায়!
তবুও সব দেখে শুনে আনমনে উথলে হাসি
উদাসীন প্রাণে – যেনো স্রেফ অপাপবিদ্ধ!
জলবতীরা কেলি ভুলে অবাক চেয়ে রয়!
কী করে জানবে ওরা? যোগীর বুকে যে শুধুই
একখানি অভিমানিনী জলের উন্নদ্ধ স্মৃতিকাতরতা!
যে একদা মদির নেশায় শুধিয়েছিলো,
– যোগী! নামবে আমার জলে?
সেই যে ক’বে ভিজেছিলো চরণ দু’খানা
সেই থেকে এখনো তেমনি অবুঝ প্রেমার্দ্রই আছে!!
প্রথম প্রকাশঃ প্রজন্ম ফোরাম (অক্টোবর ২০১১)