ঈপ্সিত হার!

আমি চাইলেই ভাঙ্গতে পারি এই বিকট নৈ:শব্দ
তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিতে পারি জগদ্দল মুখবন্ধ।
চাইলেই বাজাতে পারি ধ্বংসের দামামা
গুড়িয়ে দিতে পারি যত ইতস্ততা – ব্যর্থতানামা!

আমি চাইলেই বলতে পারি কেউ নও আমার
ভুলতে পারি যত দাগ অবহেলার, উপেক্ষার।
চাইলেই হয়ে যেতে পারো আস্তাকুঁড়ের অতীত
সরিয়ে যত আবেগী জঞ্জাল – পৌনঃপুনিক হার জিত!

আমি চাইলেই সব পারি যেসব পারার কথা না!
হাসতে পারি আকর্ণ – বিদ্রুপে মাটি বেদনার হাঙ্গামা।
চাইলেই সব হয়, কিন্তু আমি যে সেসব চাইব না।
হেরেও জেতা যায় – আহ, সে বোঝে ক’জনা?

আমি চেয়েই হেরে যাবো, জিত আমার হবে না।
আমি তোমায় চেয়ে যে বিবাগী নক্ষত্র হবো…
তবুও যে তোমায় ভুলতে পারবো না!

প্রথম প্রকাশঃ জানুয়ারি ২০১৩

মানুষ দেখার মত আনন্দ আর কিছুতে নেই!

আমি, আমি মানুষ দেখি।
তোমরা কী দেখো, জানি না।
আমি মানুষ দেখি।
আমি, আমি হেঁটে যাই পথে পথে,
থামি আপন মনে।
আমি ছুটি বাসে কিংবা ট্রেনে।
যেখানেই যাই আমি শুধু অবাক হয়ে চাই…
আমি আপ্লুত বিস্ময়ে শুধু মানুষ দেখি;
শুনি তাদের কথকতা, হাসি-কান্না,
বিদ্বেষ, ক্ষোভ, দীর্ঘশ্বাস আর নিষ্ফল বায়না!
তোমরা কী দেখো, বুঝি না
আমি কেবল মানুষের যাপিত জীবন দেখি।
আমি অপার আনন্দে মানুষের ভালোবাসা দেখি।
অথবা, কখনো কখনো কুঞ্চিত ঘৃণায়
মানুষের নীচত্ব দেখি!
পশুত্ব দেখি, দেখি পাশবিক লোভ-লালসা।
দেখি ভয়ানক মুখ ফিরিয়ে নেয়া, বিবেকের বন্ধ্যাত্ব!
আমি মানুষের ভণ্ডামি দেখি,
দেখি মুখোশের নিপুণ কারুকার্য
আমি চঞ্চল হয়ে পড়ি, বেদনায় হই নিঃসীম আর্ত!
তবুও আমি মানুষ দেখি,
ভালো হোক, মন্দ হোক…
পথে পথে ফিরি…
নানা খোলের মানবিক বিচিত্রতা আঁকি।
তোমরা কী দেখো, জানি না।
আমি মানুষের গভীর সেঁচে
অনুভূতির আনমোল মুক্তো খুঁজি!
আমি মানুষ দেখি।
মানুষ দেখার মত আনন্দ আর কিছুতেই যে নেই!

প্রথম প্রকাশঃ প্রজন্ম ফোরাম (এপ্রিল ২০১৩)